খুঁজুন
মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৫, ৫ কার্তিক, ১৪৩২

বড়া পিঠার রেসিপি

পেট খারাপ হলে আরাম মিলবে যেসব খাবারে

লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৩, ১:৫৮ পূর্বাহ্ণ
পেট খারাপ হলে আরাম মিলবে যেসব খাবারে

শিং মাছের ঝোল আর কাঁচকলার তরকারি- প্রাচীন টোটকা হলেও পেট খারাপের সময় এসব খাবার উপকারী।

পেটখারাপ হলে বহু আগে থেকেই কাঁচকলার তরকারি বা শিং মাছের ঝোল খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হত। কলাতে থাকা উপাদান আর প্রোটিনের উস হিসেবে মাছ- দুটোই শরীরের ‍দুর্বলতা কাটাতে সাহায্য করে।

কারণ ডায়রিয়া বা পেট খারাপ একটি অস্বস্তিকর ও দুর্বল করে দেওয়া শারীরিক সমস্যা। এটি যতটা অস্বস্তিকর, ততটাই সাধারণ।

বিশ্বজুড়ে এটি দ্বিতীয় সর্বাধিক সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও অধিকাংশ সময় কয়েকদিনের মধ্যে এই সমস্যা আপনাতেই সেরে যায়। তবুও দ্রুত আরাম পেতে কিছু নির্দিষ্ট খাবার খাওয়া দারুণ কার্যকর হতে পারে।

ডায়রিয়ার সময় কী খাবেন আর কী খাবেন না

অনেকেই ভয় পান কোন খাবার পেটে গিয়ে অবস্থা আরও খারাপ করবে কি-না!

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক পুষ্টিবিদ মিশেল রুথেনস্টাইন ওয়েলঅ্যান্ডগুড ডটকম-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলেছেন, “এই সময় এমন কিছু খেতে হবে যা সহজে হজম হয়, শরীরে পানিশূন্যতা পূরণ করে এবং অন্ত্রে পুষ্টি দিয়ে পুনরুদ্ধারে সাহায্য করে।”

টক দই ধর্মী পানীয়

এতে থাকে প্রচুর পরিমাণ ‘প্রোবায়োটিক’।

মিশেল রুথেনস্টাইন বলেন, “এক কাপ কেফির অন্ত্রের ভালো ব্যাক্টেরিয়া পুনরুদ্ধারে সাহায্য করে। হজমে সহায়ক হয় এবং ডায়রিয়ার সময় অন্ত্রের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনে।”

তবে যারা কেফির খেতে পারেন না, তারা টক দই বেছে নিতে পারেন। বিশেষ করে চিনি কম এমন প্রাকৃতিক দই খাওয়া ভালো।

তবে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট ডেভিড ডি ক্লার্ক একই প্রতিবেদনে বলেন, “ডায়রিয়ার তীব্রতা কমার পরেই কেফির বা দই খাওয়া ভালো, কারণ অন্ত্রের ল্যাক্টেজ (দুধ হজমের রস) উৎপাদনের জন্য কিছুটা সময় দরকার।”

আর যারা দুগ্ধজাত খাবার সহ্য করতে পারেন না (ল্যাক্টোজ অসহিষ্ণুতা রয়েছে), তাদের কেফির বা দই সম্পূর্ণ এড়িয়ে যাওয়া উচিত।

সিদ্ধ গাজর

সবজির আঁশ হজম করতে অনেক শক্তি লাগে। তাই পুষ্টিবিদ সামান্থা পিটারসন পরামর্শ দেন গাজরের মতো সবজি সেদ্ধ করে খাওয়ার।

তিনি বলেন, “সিদ্ধ গাজর অন্ত্রের জন্য কোমল। এতে থাকে দ্রবণীয় আঁশ, যা পাতলা মলকে ঘন করতে সাহায্য করে। এতে থাকা বিটা-ক্যারোটিন রূপান্তরিত হয় ভিটামিন ‘এ’-তে, যা অন্ত্রের আবরণ ও রোগ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে।”

যদি গাজর ভালো না লাগে, তাহলে বিকল্প হিসেবে ডা. ক্লার্ক সিদ্ধ ঝিঙে বা বরবটি খাওয়ার পরামর্শ দেন।

আলু

ডা. ক্লার্ক বলেন, “আলু শক্তি জোগায় এবং সহজপাচ্য। এতে রয়েছে পটাসিয়াম, যা ডায়রিয়ার সময় ঘাম ও পানির সঙ্গে শরীর থেকে বেরিয়ে যায়।”

মিশেল রুথেনস্টাইন বলেন, “পটাসিয়াম রক্তে তরল ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।”

তবে খেয়াল রাখতে হবে, যেন ভাজা বা ঝাল না হয়। সিদ্ধ, ভাপানো বা মেখে, লবণ দিয়ে খেলে উপকার হবে।

ওটস

অতিরিক্ত আঁশযুক্ত খাবার ডায়রিয়ার সময় ক্ষতিকর হতে পারে। তবে সব আঁশ এক নয়।

যুক্তরাষ্ট্রচিত্তিক গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট ডা. সন্ধ্যা শুক্লা বলেন, “অদ্রবণীয় আঁশ যেমন- মটরশুঁটিতে পাওয়া যায়, তা অন্ত্রের গতি বাড়িয়ে দেয় এবং সমস্যা বাড়াতে পারে। অন্যদিকে দ্রবণীয় আঁশ যেমন ওটসে থাকে, তা মলকে ঘন করে এবং অন্ত্রের গতি ধীর করে।”

২০১৭ সালের একটি পর্যালোচনা গবেষণাতেও দেখা যায়, দ্রবণীয় আঁশ সমৃদ্ধ খাবার ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণে কার্যকর।

চাল

চাল, কলা ধরনের খাবার ডায়রিয়া ও বমির সময় উপকারী।

ডা. শুক্লা বলেন, “এই খাবারগুলো সহজে হজম হয়, দ্রুত শক্তি দেয় এবং অন্ত্রের ওপর চাপ কমায়।”

তিনি বলেন, “সাদা চাল ডায়রিয়ার সময় বেশি উপকারী, কারণ এতে দ্রবণীয় আঁশ কম। বাদামি চালে আঁশ বেশি থাকায় তা এড়িয়ে চলাই ভালো।”

কলা

ডায়রিয়ার সময় সহজপাচ্য খাবার সবচেয়ে ভালো, আর কলা তার মধ্যে অন্যতম।

সামান্থা পিটারসন বলেন, “কলা পটাসিয়াম সমৃদ্ধ। আর এর দ্রবণীয় আঁশ ‘পেকটিন’ অন্ত্রের অতিরিক্ত পানি শুষে নেয়, ফলে মল ঘন হয়।”

অ্যাপলসস

ডা. শুক্লা জানান, “আপেলে থাকা পেকটিন মল ঘন করতে সহায়তা করে।”

এটি আসলে আপেলের মিষ্টি পাতলা মিশ্রণ, যা সিদ্ধ করা আপেল চটকে তৈরি করা হয়।

এটি ঘন, ঝোলজাতীয়, অনেকটা জ্যামের মতো দেখতে হলেও এতে সাধারণত কোনো কৃত্রিম উপাদান বা অতিরিক্ত চিনি না থাকলেও চলে।

ডা. ক্লার্ক বলেন, “এটি প্রিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে, অন্ত্রের ভালো ব্যাক্টেরিয়া বাড়ায় এবং গ্যাস বা অস্বস্তি কমায়।”

মুরগির ঝোল বা হাড়ের ঝোল

যাদের খেতে অসুবিধা হচ্ছে বা বমি বমি ভাব রয়েছে, তাদের জন্য ঝোল একটি আদর্শ খাবার।

মিশেল রুথেনস্টাইন বলেন, “মুরগির ঝোল বা হাড়ের ঝোলে থাকে সোডিয়াম, পটাসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম, যা ডায়রিয়ার সময় শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। ঝোল পান করলে শরীর আবার আর্দ্র হয়।”

চর্বিহীন প্রোটিন

প্রোটিন শরীরের জন্য জরুরি অ্যামিনো অ্যাসিড সরবরাহ করে। যা হজম, কোষ মেরামত, রোগ প্রতিরোধ ও শক্তি উৎপাদনে সহায়ক।

ডা. ক্লার্ক বলেন, “মুরগি বা টার্কির মতো চর্বিহীন মাংস অথবা সেদ্ধ ডিম ডায়রিয়ার সময় ভালো প্রোটিনের উৎস।”

চর্বিযুক্ত বা ঝাল মাংস ডায়রিয়ার সময় অন্ত্রে চাপ সৃষ্টি করতে পারে, তাই তা এড়িয়ে চলা উচিত।

কখন চিকিসকের পরামর্শ নিতে হবে?

ডায়রিয়া সাধারণত নিজে নিজেই সেরে যায়। তবে নিচের যে কোনো লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন—

  • ডায়রিয়া ৩ দিনের বেশি স্থায়ী হলে
  • পায়খানায় রক্ত দেখা গেলে
  • মাথা ঘোরা বা গা শুকিয়ে যাওয়া মতো পানিশূন্যতার লক্ষণ দেখা দিলে
  • তীব্র পেটব্যথা, বুকব্যথা, জ্বর বা ওজন কমে গেলে
  • সম্প্রতি কোনো ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় ভ্রমণ করে থাকলে বা কোনো নতুন ওষুধ খাওয়ার পর উপসর্গ শুরু হলে ডায়রিয়া অবহেলার রোগ নয়।

সঠিক সময়ে সঠিক খাবার ও পানীয় গ্রহণ করলে দ্রুত আরাম পাওয়া সম্ভব। তবে দীর্ঘস্থায়ী হলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

কৃষকদের আত্মবিশ্বাস ও উৎপাদনশীলতা বাড়াতে কলারোয়ায় সাড়ম্বরে অনুষ্ঠিত হলো পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই, ২০২৫, ১০:৩২ অপরাহ্ণ
কৃষকদের আত্মবিশ্বাস ও উৎপাদনশীলতা বাড়াতে কলারোয়ায় সাড়ম্বরে অনুষ্ঠিত হলো পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস

বিশেষ প্রতিনিধি:
কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নসহ নানান সময়োপযোগী ও যুগোযোগী বিষয়াদি নিয়ে সাতক্ষীরার কলারোয়ায় পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই ২০২৫) কলারোয়া উপজেলা অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জহুরুল ইসলাম।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের খুলনা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ রফিকুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কলারোয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ এস এম এনামুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ি সাতক্ষীরার উপ-পরিচালক কৃষিবিদ সাইফুল ইসলাম, পার্টনার প্রোগ্রাম খুলনা অঞ্চলের সিনিয়র মনিটরিং অফিসার কৃষিবিদ মোসাদ্দেক হোসেন, কলারোয়া উপজেলা বিএনপির মুখপাত্র ও সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সদস্য অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রইছ উদ্দিন প্রমুখ ।
কৃষকদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন কবিরুল ইসলাম।
অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ রফিকুল ইসলাম পার্টনার প্রোগ্রামের সহযোগিতায় আম গাছ পরিচর্যা, আমের ফলন বৃদ্ধি ও অন্যান্য কৃষি বিষয়ক সহযোগিতা, পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা প্রদান করেন এবং বলেন, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে পিএসএফের ধরণে আমন, বোরো, আউশ, গম, তেল, ডাল, পুষ্টি ও গ্যাপের লক্ষ্যমাত্রা ও অর্জন শতভাগ। প্রশিক্ষণের ধরণে গ্যাপ সার্টিফিকেশন ট্রেনিং ফর ফরমার্সের লক্ষ্যমাত্রা ও অর্জন শতভাগ। ফসল ভিত্তিক প্রদর্শনীতেও লক্ষ্যমাত্র ও অর্জন শতভাগ। এছাড়াও ইউনিয়ন ভিত্তিক বাস্তবায়িত পিএফএস কার্যক্রমের বিবরণ তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মো: আসাদুজ্জামান।
অনুষ্ঠানস্থলে জিএপি (গ্যাপ) ফসল কর্নার, জৈব বালাইনাশক কর্নার, কৃষক সেবা কেন্দ্র, জিএপি (গ্যাপ) প্রদর্শনী প¬টের রেপি¬কা তুলে ধরা হয়। এর মাধ্যমে কৃষি-কৃষকের উন্নয়ন ও ফসলের ফলন বৃদ্ধিতে যুগোপযোগী নানান কৃষি বিষয়াদি উপস্থাপন করা হয়।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচারাল এন্ড রুরাল ট্রান্সফর্মেশন ফর নিউট্রিশন এন্টারপ্রেনরশিপ এন্ড রেসিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ (পার্টনার) এর আওতায় ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে বের হয় আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ও একটি র‌্যালি।
পার্টনার প্রোগ্রাম খুলনা অঞ্চলের সিনিয়র মনিটরিং অফিসার কৃষিবিদ মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, কৃষকের দক্ষতা ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে পার্টনার প্রকল্পের আওতায় ফিল্ড স্কুল, উত্তম কৃষি চর্চা, আধুনিক সেচ প্রযুক্তি, মানসম্মত তথ্য ব্যবস্থাপনা ও চালু করা হয়েছে। এ ধরনের কংগ্রেসে কৃষক প্রতিনিধিদের অভিজ্ঞতা বিনিময়, বাস্তবভিত্তিক প্রশিক্ষণ এবং উদ্ভাবনী চর্চার প¬্যাটফর্ম তৈরি হয়। পার্টনার প্রকল্পের আওতায় দেশের এক ফসলি জমিতে অধিক ফসল উৎপাদন, কৃষিকরা উদ্ভাবনী ফসল চাষাবাদ এবং নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের পাশাপাশি পুষ্টিগত উন্নয়ন, উদ্যোক্তা তৈরি এবং উত্তম কৃষি চর্চাই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য। নিয়ম মেনে উৎপাদন করলে আমরা লাভবান হবো।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ি সাতক্ষীরার উপ-পরিচালক কৃষিবিদ সাইফুল ইসলাম বলেন, “কৃষকের দক্ষতা ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে পার্টনার প্রকল্পের আওতায় ফিল্ড স্কুল, উত্তম কৃষি চর্চা, আধুনিক সেচ প্রযুক্তি, মানসম্মত তথ্য ব্যবস্থাপনা ও ফার্মার্স সার্ভিস সেন্টার চালু করা হয়েছে।” বক্তারা আরও বলেন, “এ ধরনের কংগ্রেসে কৃষক প্রতিনিধিদের অভিজ্ঞতা বিনিময়, বাস্তবভিত্তিক প্রশিক্ষণ এবং উদ্ভাবনী চর্চার প¬্যাটফর্ম তৈরি হয়।”
কলারোয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ এস এম এনামুল ইসলাম বলেন, “আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার, বালাইনাশক ব্যবস্থাপনা ও মাঠ পর্যায়ের প্রশিক্ষণ কৃষিতে টেকসই উন্নয়নের জন্য জরুরি। প্রকল্পের এ উদ্যোগ কৃষকদের আত্মবিশ্বাস ও উৎপাদনশীলতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”

অশ্লীল ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে স্কুলছাত্রীকে দুই বন্ধুর ধর্ষণ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৩০ জুন, ২০২৫, ১:৫৪ পূর্বাহ্ণ
অশ্লীল ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে স্কুলছাত্রীকে দুই বন্ধুর ধর্ষণ

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় রায়হান রহমান (২০) নামে এক যুবক গোপনে এক স্কুলছাত্রীর গোসলের ভিডিও ধারণ করেছে। পরে ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তিনি স্কুলছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ ও ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করেন। আবার এসব ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে রায়হানের বন্ধু শাকিল আহমেদ ওরফে মিম (২৫) ওই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। এসব অভিযোগে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

শনিবার (২৮ জুন) রাতে এ ঘটনায় ওই স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে থানায় এই মামলা দায়ের করেন। সাদুল্লাপুর থানার ওসি তাজউদ্দিন খন্দকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অভিযুক্ত রায়হান রহমান উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের মধ্য ভাঙ্গামোড় গ্রামের জুগীপাড়ার মিলন প্রামাণিকের ছেলে এবং শাকিল আহমেদ ওরফে মিম একই ইউনিয়নের কান্তানগর গ্রামের সাজু মিয়ার ছেলে।
ওসি তাজউদ্দিন খন্দকার মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে জানান, বিগত রমজান মাসের কোনো এক দিন ওই স্কুলছাত্রী টিউবওয়েলে গোসল করে। এ সময় ওই দৃশ্য রায়হান রহমান তাঁর মোবাইল ফোনে গোপনে ধারণ করেন। পরে সুযোগ বুঝে রায়হান একদিন রাতে ওই স্কুলছাত্রীর পড়ার ঘরের জানালার কাছে এসে ভিডিওটি তাকে দেখান এবং তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেন। এতে রাজি না হলে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখান। একপর্যায়ে ভিডিওটি ফোন থেকে ডিলিট করার আশ্বাস দিয়ে গত ১৫ এপ্রিল মধ্যরাতে তাকে ধর্ষণ করেন। এরপর আরও দুই দিন গত ১৭ ও ১৯ এপ্রিল রাতে তাকে ধর্ষণ করেন এবং এই ধর্ষণের ভিডিও মোবাইলে ধারণ করেন।
তিনি আরও জানান, এরপর গত ২৪ জুন স্কুল ছুটির পর শাকিল আহমেদ ওরফে মিম জরুরি কথা বলার জন্য ওই ছাত্রীকে স্কুলের অদূরে ডেকে নিয়ে যান।

সেখানে এই (গোসল ও ধর্ষণের) ভিডিওগুলো দেখান। এবং এসব ভিডিও ফোন থেকে ডিলিট করার আশ্বাস দিয়ে কান্তানগর বাজারের পাশে তাঁর দোকানে ডেকে নিয়ে যান। সেখানে তাঁকে ধর্ষণ করেন শাকিল আহমেদ ওরফে মিম। এ সময় জনৈক ব্যক্তি এসে শাকিল আহমেদ ওরফে মিমকে ডাকাডাকি করলে স্কুলছাত্রীকে ছেড়ে দেন। বাড়িতে এসে ওই স্কুলছাত্রী এসব ঘটনা তার অভিভাবকদের জানায়।

সাদুল্লাপুর থানার ওসি তাজউদ্দিন খন্দকার জানান, ওই স্কুলছাত্রী বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।

বিমানবন্দরে ব্যাগের মধ্যে গুলির ম্যাগাজিন, যে ব্যাখ্যা দিলেন উপদেষ্টা আসিফ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৩০ জুন, ২০২৫, ১:৫০ পূর্বাহ্ণ
বিমানবন্দরে ব্যাগের মধ্যে গুলির ম্যাগাজিন, যে ব্যাখ্যা দিলেন উপদেষ্টা আসিফ

নিজস্ব প্রতিবেদক.
ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্ক্যানিংয়ের সময় ব্যাগে গুলির ম্যাগাজিন ধরা পড়ার ঘটনায় বিতর্কের ঝড় ওঠার পর ব্যাখ্যা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, প্যাকিং করার সময় অস্ত্রসহ একটি ম্যাগাজিন বাসায় রেখে এলেও ভুলবশত আরেকটি ম্যাগাজিন ব্যাগে থেকে যায়। পরে সেটি তিনি তাঁর ব্যক্তিগত প্রটোকল কর্মকর্তার কাছে রেখে আসেন।

মরক্কোর মারাকেশে অনুষ্ঠেয় ‘ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল ইন্টারন্যাশনাল প্রোগ্রামে’ অংশ নিতে আজ রোববার ভোরে আসিফ মাহমুদ শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে দেশত্যাগ করেন। ভোরে বিমানবন্দরে স্ক্যানিংয়ের সময় তাঁর ব্যাগে ম্যাগাজিন থাকার বিষয়টি ধরা পড়ে।

আজ রাতে আসিফ মাহমুদ ফেসবুকে এ বিষয়ে ওই ব্যাখ্যা দেন। ব্যাখ্যায় তিনি আরও বলেন, ‘নিরাপত্তার স্বার্থে আমার লাইসেন্স করা বৈধ অস্ত্র আছে। গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্বের ওপরে যেভাবে হত্যাচেষ্টা চালানো হয়েছে কয়েক দফা, তাতে রাখাটাই স্বাভাবিক। যখন সরকারি প্রটোকল বা সিকিউরিটি থাকে না, তখন নিজের এবং পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিতের উদ্দেশ্যে লাইসেন্সড অস্ত্র রাখা।’

আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘মরক্কোর মারাকেশে অনুষ্ঠিতব্য ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল ইন্টারন্যাশনাল প্রোগ্রামে’ অংশগ্রহণের জন্য আজ ভোর ৬টা ৫০ মিনিটে ফ্লাইট ছিল। ভোরে প্যাকিং করার সময় অস্ত্রসহ একটা ম্যাগাজিন রেখে এলেও ভুলবশত আরেকটি ম্যাগাজিন ব্যাগেই রয়ে যায়। যেটা স্ক্যানে আসার পর আমার প্রটোকল অফিসারের কাছে হস্তান্তর করে আসি। বিষয়টি সম্পূর্ণ আনইন্টেনশনাল। শুধু ম্যাগাজিন দিয়ে আমি কী করব ভাই? ইন্টেনশন থাকলে অবশ্যই অস্ত্র রেখে আসতাম না। এখানে অবৈধ কিছু না থাকলেও অনেকের জন্যই এটা আলোচনার খোঁড়াক (খোরাক) বটে।’
সংবাদমাধ্যমকে চাপ প্রয়োগ করে এ-বিষয়ক সংবাদ সরানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আসিফ মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘চাপ দিয়ে নিউজ সরানোর অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। এই ঘটনার পর আমি টিমসহ টানা ১০ ঘণ্টা ফ্লাইটে ছিলাম। ট্রানজিটে নেমেও দীর্ঘক্ষণ পর অনলাইনে এসে দেখতে পাচ্ছি যে এত কিছু ঘটেছে। নাগরিক হিসেবে আপনারও যদি নিরাপত্তাঝুঁকি থাকে, যথাযথ নিয়ম ফলো করে আপনিও অস্ত্রের লাইসেন্স করতে পারেন।’